দাগহীন উজ্জ্বল ত্বক কে না চায়, ত্বকের কালোভাব, মুখের মেছতা, ব্রণের দাগ হলো ও তো কথাই নেই।মুখের তো বারোটা বাজিয়ে দিয়ে ছাড়বে।
আরও রয়েছে চোখের নিচে কালো দাগ পড়লে মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এসব দাগ দূর করার জন্য আপনাদের মাঝে কিছু ঘরোয়া উপায় শেয়ার কর।যা ব্যবহারে আপনার মুখের সকল ধরনের কালোদাগ দূর করতে পারবেন।
আসুন দেখা নেওয়া যাক সহজ উপায়
লেবু –
লেবু ছোট বড় কম বেশি সবাই পছন্দ করে। লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং লেবুর মতো প্রাকৃতিক ব্লিচিং শক্তি আর কোনোটাতে নেই। এটা যেমন ত্বকের দাগ দূর করে তেমনি ত্বক ফর্সা সুন্দর ও উজ্জ্বল করে তোলে।
১ টা লেবুর অর্ধেক কেটে আক্রান্ত স্থানের উপর লাগান এবং শুকানোর জন্য ১০ থেকে ১২ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সাপ্তাহে ৩ দিন এটি ব্যবহার করুন।
আলু –
আলু আমাদের অতিপরিচিত একটি সবজি। নানা ভাবে আমরা আলু খেয়ে থাকি। যেমন তরকারী, আলু ভত্তা, আলুর ডাল।
শুধু তরকারি খাই নাই, মেছতার দাগ দূর করতে আলুর রস অনেক উপকার করে থাকে। আলুতে থাকা ক্যাটেকোলেজ নামক এক ধরনের উৎসেচক ত্বক উজ্জ্বল ও সুন্দর করে তোলে।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে গোল করে কেটে কয়েক ফোটা আলুর রস নিন। পরে হাত দিয়ে ত্বকে ঘষুন। ৫ থেকে ৬ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন
দুধ ও মধু –
দুই চামুচ মধু এবং এক চামুচ কাঁচা দুধ একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে কালো দাগের উপরে সুন্দর করে লাগিয়ে দিন। রেখে দিন ১০/ ১২ মিনিট। পরে মুখটা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
টানা কয়েকদিনের ব্যবহারে আপনার মুখের দাগ মুছে যাবে। সেই থাকে আপনি ও পেয়ে যাবেন, ধবধবে ফর্সা ত্বক।
পাকা পেঁপে –
পাকা পেঁপে খাইতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি রুপচর্চ্চাতে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়। পাকা পেঁপে কালো দাগ দূর করতে অসাধারণ কাজ করে থাকে।
এক্ষেত্রে পাকা পেঁপের পেস্ট মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। সামান্য লেবুর রস মিশিয়েও তা ব্যবহার করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহার করলে তোমার ত্বকের দাগ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।
মধু –
আদিকাল থেকে নানা নানী ও দাদা দাদীরা রুপচর্চ্চাতে মধু ব্যবহার করে আসছে।
দাগ দূর করতে মধুর গুণাগুণ অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়।
দুই চামুচ খাটি মধু নিন। হাতের তালুতে সুন্দর করে মিশিয়ে নেওয়া পরে, তোমার মুখে হালকা করে ম্যাসাজ করুন। পরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
তার পরে সুন্দর করে মুখটা ধুয়ে ফেলুট। এই ভাবে সাপ্তাহিক ৩/৪ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন। মাত্র কিছুদিন ব্যবহার করলে তোমার মুখের ত্বক আগের থেকে দ্বিগুণ ফর্সা ও সুন্দর হবে।
বাদামের তৈল –
রাতে শুতে যাওয়ার আগে ময়েশ্চরাইজ়ারের বদলে কয়েক ফোঁটা সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করে দেখুন, চোখে পড়ার মতো ভালো ফল পাবেন।
গোলাপজল –
ত্বকে কালোভাব কালোদাগ পরে গেছে। খুব সহজে ঘরে বসে দূর করতে পারবেন।
প্রথমে দুই চামুচ পরিমাণ গোলাপজল নিবেন। তার সাথে এক চামুচ পরিমাণ কাঁচা দুধ নিবেন। দুইটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিন।
রাতে ঘুমানোর আগে মুখটা সুন্দর করে ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নিবেন। পরে মিশানো উপাদানটি হালকা হাতে ঘষে ঘষে তোমার মুখে লাগিয়ে দিবেন।
সারা রাত রেখে দিবেন, সকালে মুখটা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভাবে মাত্র কিছুদিন ব্যবহার করলে, তোমার মুখের কালোদাগ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।
দারচিনি –
মসলা জাতি খাদ্য দারচিনি, তরকারির সুস্বাদ বাড়াতে যেমন অনেক ভুমিকা রাখে, তেমনি ত্বকের কালোদাগ দূর করতে অনেক উপকার করে।
দুই চামুচ দারচিনি গুড়া, তার সাথে এক চামুচ খাটি মধু। ভালো করে দুইটি উপাদান মিশিয়ে নিবেন।
ব্যবহারের আগে মুখটা ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নিবেন। তার পরে এটি মুখে ভালো করে লাগিয়ে দিবেন। ১৫/ ২০ মিনিট রেখে দিবেন,তার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
কমলা -
কমলা লেবুর খোসা গুঁড়ো করে তার সাথে দুধ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। সাপ্তাহিক ৩/৪ দিন, এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাবেন। অবশ্যই এটি ব্যবহার করবেন।
হলুদ -
আদিকাল থেকে রুপচর্চায় হলুদ ব্যবহার করার প্রচলন আছে, এবং এখন রয়েছে।
এক চামুচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। তার পরে হালকা হাতে ঘষে ঘষে সুন্দর করে লাগিয়ে দিবেন ত্বকে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিয়ে, ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
0 Comments