লিচুতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিস-সি, ক্যালসিয়াম। এছড়া অন্যান্য খনিজ উপাদান আছে যেমন - আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যার জন্য দৈনন্দিন পুষ্টিচাহিদা মেটাতে লিচু অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিচু খাওয়া যে ভাল, তেমনি কিছু খারাপ দিক ও আছে।
লিচুর উপকারিতা
১) শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় লিচু।
২) প্রচুর পরিমাণ লিচুতে ভিটামিন সি আছে, যা ত্বক, দাঁত ও হাড়ের জন্য উপকারী।
৩) লিচুতে ফ্ল্যাভানয়েডস নামের একটি উপাদান থাকে, যা স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
৪) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে পাকা লিচু। কারণ, এতে রয়েছ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট।
৫) লিচুতে থাকা পটাসিয়াম আমাদের রক্ত ও নালির চাপ কমিয়ে রক্তের স্বাভাবিক গতি বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬) লিচুতে প্রচুর ফাইবার ও পানি থাকে যা হজমে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতে ও সাহায্য করে।
৭) লিচুতে থাকা কপার হেয়ার ফলিকল কে উত্তেজিত করে ফলে চুলের বৃদ্ধি ঘটে।
৮) লিচু শরিরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
৯) মনভুলো রোগীদের/ মস্তিষ্কের রোগীদের জন্য লিচু বেশ উপকারি ফল।
লিচুর অপকারিতা
লিচুতে হাইপোগ্লাইসিন নামের একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে। যা শরীরে শর্করা তৈরি হতে বাধা দেয়। যার কারণে অতিরিক্ত লিচু খাওয়া ভালো না।
শরীরের শর্করা কমে শিশুদের বমি ও খিঁচুনি ভাব শুরু হয়। অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত লিচু খাওয়া থেকে দূরে রাখুন। বেশি লিচু খেলে শরীরে শর্করা কমে গিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
লিচু ওজন বৃদ্ধি করে- প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ ক্যালোরি রয়েছে। অতিরিক্ত লিচু খেলে আপনার দেহ ক্যালোরি পরিমাণ বেড়ে যাবে। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে, ওজন অধিক বেড়ে যাবে।
0 Comments